মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আঃলীগ সভাপতি রফিউদ্দিন উদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস কর্তৃক পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফুটপাতের সরকারি জমি দখল করে ১৬ টি দোকান ঘরের পাকা স্থাপনা অবশেষে ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে অপসারণ করা হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পৌর মেয়র ওই স্থাপনা অপসারণের কাজ শুরুর দুই দিন পর তা আবার বন্ধ করে দেন। স্থাপনা রক্ষা করার জন চলে নানা তদবির।জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এক সপ্তাহের সময় নিয়ে স্থাপনা অপসারণের মেয়রের নানা টালবাহানার বিষয়টি জাতীয় সংসদের হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর – ৩ মঠবাড়িয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী ফরাজি জানতে পেরে জনস্বার্থ বিরোধী অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য মুঠোফোন ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী কে জানান। অতঃপর ভুমি মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন কে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে তাকে অবহিত করার নির্দেশ দেন । গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কাজ আজ শনিবার শেষ হলো ।বহুল আলোচিত এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাকা স্থাপনা দখল মুক্ত হওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পৌরবাসীসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।
উল্লেখ্য, পৌর শহরের প্রাণকেন্দে আঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে পৌর মেয়র ও উপজেলা আঃলীগ সভাপতি রফিউদ্দিন উদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস ১৪টি ও নবনির্মিত মৎস্য ভবনের পূর্ব পাশে ২টি পাকা স্থাপনা নির্মান করে। বিষয়টি জনস্বার্থ বিরোধী হওয়ায় জনস্বার্থে গত ১৭ জুলাই সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানও পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃমোঃ রুস্তম আলী ফরাজির ভুমি মন্ত্রী, ভুমি সচিব বরাবরে ডিও পএ দেন। । ভুমি নীতিমালা বহিভূত অবৈধ পাকা স্থাপনাা নির্মাণের বিষয়টি জাতীয় দৈনিক সংবাদ, দৈনিক সকালের সময়, আজকের দর্শন সহ বিভিন্ন পএিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়রের সরকারি জমি জবর দখল বিষয়টি ভাইরাল হয়। এরপর সাংসদের ডিও পএের প্রেক্ষিতে ভুমি সচিব পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কে অবহিত করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করে।পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন গত ১০ সেপ্টেম্বর অবৈধ স্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শন করে বিষয়টি জনস্বার্থ বিরোধী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কে অবহিত ও মেয়র রফিউদ্দিন আহ¤েœদ ফেরদৌস কে স্থাপনা অপসারণের জন্য নির্দেশ দেন। অতঃপর পৌর মেয়র ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জনস্বার্থে অপসারণ করার উদ্যোগ নিয়েও অজ্ঞাত কারণে তিনি থেমে যান। অবশেষে ভুমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জনদূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেলেন জনসাধারণ। সরকারের বেহাত হওয়া ৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি উদ্ধার হলো।
Leave a Reply